কাবুলে খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই দেখা গেল ক্লাসরুম প্রায় ফাঁকা। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অধ্যাপক, কেউই আসছেন না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় যেতে হলে নারীর উপর জারি হওয়া ফতোয়া সবাই মানতে নারাজ। কাবুল দখলে নেওয়ার পর তালেবান জানিয়েছিল, নারীদের স্বাধীনতায় তারা হস্তক্ষেপ করবে না। তারা চাইলে স্কুল-কলেজে যেতে পারে। তবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে গেলে তাদের হিজাব পরতে হবে। ছেলেদের থেকে তাদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানানো হয়।
সেই নিয়ম মেনে নিতে রাজি ছিলেন আফগান মেয়েরা। কিন্তু পরবর্তীতে তালেবান নির্দেশ দেয়, নারীদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে গেলে নিকাব পরতে হবে। এই নির্দেশেরই প্রতিবাদ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। কাবুলের ঘারজিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর নুর আলি রহমানি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের ছাত্রছাত্রীরা তালেবানের নির্দেশ মানতে রাজি না।
তারা হিজাব পরতে রাজি, কিন্তু নিকাব পরবে না। তাই তারা আসছে না। অধ্যাপকদেরও একই সিদ্ধান্ত। সেই কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।’’ নুর জানান, তারা তালেবানের মুখপাত্রকে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের বিষয়ের বলেছেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি না তালেবান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।